,

মানসিক চাপ কমাতে করনীয়

সময় ডেস্ক : কেউ মানসিক চাপ বা স্ট্রেসে থাকলে তার আচরণে যেমন পরিবর্তন দেখা যায়, তেমনি বেশ কিছু শারীরিক লক্ষণও থাকে। স্ট্রেসের শারীরিক লক্ষণগুলো কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মাথা বা ঘাড় ব্যথা করতে থাকা, সারাদিন ঝিমুনিভাব, ঘাড়, বুক, গাল ও গলার আশপাশের পেশি শক্ত হয়ে থাকা ইত্যাদি। মানসিক চাপে থাকলে হজমের বা পায়খানার সমস্যা, বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে পেট মুচড়ে সারাদিন অল্প পরিমাণে পায়খানা হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। বুকে ব্যথা বা বুক ধড়ফড় করাও মানসিক চাপের লক্ষণ। আবার কখনও দেখা যায়, ছোট ছোট জিনিস বারবার ভুলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া কোনো কাজে বারবার মনোযোগ হারিয়ে ফেললে, দৈনন্দিন ছোট ছোট কাজে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে আপনি স্ট্রেসে আছেন বলে ধরে নিতে পারেন।
মানসিক চাপ আপনার দৈনিক জীবনের রুটিনেও আনতে পারে পরিবর্তন। দেখা যাবে, আপনার একেবারে কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না বা প্রয়োজনের চেয়েও বেশি খাচ্ছেন। একইভাবে ঘুমের সময়েও পরিবর্তন আসবে। মেজাজ সারাক্ষণ খিটখিটে থাকা কিংবা হুট করে রেগে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাবে, আপনি নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে এড়িয়ে চলছেন অথবা এসব অনুভূতি থেকে পালাতে ধূমপানের মতো অভ্যাসের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
তাহলে কী করবেন? স্ট্রেস থেকে বেরিয়ে আসার প্রথম ধাপ হলো, কথা বলা। কাছের বন্ধু কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের মানসিক অবস্থার কথা আলোচনা করুন। মনকে হালকা রাখার চেষ্টা করুন। আগে থেকে পরিকল্পনা করুন। আগামীকালের ছোট ছোট কাজগুলো সাজিয়ে রাখুন নিজের মতো করে। কর্মচঞ্চল থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীর এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যা আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে। নিজের যত্ন নিন। পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, নতুন কোনো কিছু শেখা, একটু গল্পের বই পড়া বা জানালার ধারে টবে গাছের যত্ন নেওয়ার মতো ছোট ছোট কাজ আপনাকে একটু একটু করে চাপমুক্ত হতে সহায়তা করবে।
মানসিক চাপে আছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব মানুষকে নিয়ে যেসব গ্রুপ আছে, সেখানে যুক্ত হতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্য়ায়ামের ভিডিও পাবেন ইন্টারনেটে। এসব নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যায়াম করলে স্ট্রেসের কারণে শক্ত হয়ে আসা পেশি ও মন দুটোই শিথিল হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর